👉 সমস্যার সমাধান শিখুন 👈


১। পেনড্রাইভ ফরম্যাট হচ্ছে না।

কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণ হলে অনেক সময় সেই কম্পিউটার থেকে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করা যায় না। এ অবস্থায় পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে চাইলে প্রথমে কন্ট্রোল প্যানেল -এ গিয়ে Administration -এ ক্লিক করুন। তারপর Computer Management -এ ক্লিক দিন। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management -এ ক্লিক করলে পেনড্রাইভ সহ সবগুলো ড্রাইভের নাম দেখাবে। এবার পেনড্রাইভের উপর মাউস রেখে Right ক্লিক করে ফরম্যাটে ক্লিক করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।

২। পুরোনো পিসি থেকে ভালো পারফরম্যান্স।

কম্পিউটার ব্যবহারেে ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট কাজ করার মাধ্যমে পুরোনো কম্পিউটারেও ভালো কাজ করা সম্ভব।

⏩  কম্পিউটারেে গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্রাংশ Ram বাড়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। অন্য কোনো যন্ত্রাংশের কথা না বলে Ram এর কথা বলার কারণ হলো এখন Ram এর দাম অনেক কমে এসেছে কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশের তুলনায়।

⏩  হার্ডডিস্কে বেশিসংখ্যক পার্টিশন থাকলে সেটাও কম্পিউটারকে বেশি স্লো করে দেয়।

⏩  ডেক্সটপে যত সম্ভব কম আইকন রাখুন।

⏩  ডেক্সটপে ওয়ালপেপার টাইল বা ফিলআপ অথবা স্ট্রেচ করে রাখবেন না।

⏩  টাস্কবারে কম সংখ্যক আইকন রাখতে হবে।

⏩   মাউসের কার্সরের ক্ষেত্রে অপশনাল কোনো কার্সর ব্যবহার না করে অপারেটিং সিস্টেমের ডিফল্ট কার্সর ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

⏩  মাউসে কার্সরের ট্রেইল বন্ধ করে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

⏩  শিডিউল টাস্ক যত সম্ভব কম রাখুন।

⏩  স্টার্টআপে যত সম্ভব কম প্রোগ্রাম রাখুন। এটি সহজেই করতে পারেন কন্ট্রোল প্যানেল থেকে।


৩। উইন্ডোজের অটোরান বন্ধ করুন।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটারে পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড যুক্ত করলে তা সাধারণত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে(অটোরান)। ফলে পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ডে কোনো কম্পিউটার ওর্য়াম বা ভাইরাস থাকলে, পেনড্রাইভ কম্পিউটার যুক্ত করলে(ওপেন) তা পুরো কম্পিউটার ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই চাইলে আপনি এই অটোরান বন্ধ রাখতে পারেন। এ জন্য মাই কম্পিউটারে ডান ক্লিক করে Administration/Computer Management/Service এবং Application/Service/Shell Hardware Detection অপশনে যান। এবার Shell Hardware Detection অপশন খুলে Service Status এ Stop দিন। Startup Type অপশনে Disabled নির্বাচিত করুন। এরপর থেকে ইউএসবি ড্রাইভ সংযোগ করলে তা আর অটোরান করবে না। উল্লেখ্য, এই কাজটি করলে আপনার ডিভিডি রমকে কম্পিউটার সিডিরম হিসেবে দেখাবে। কিন্তু এতে ভয়ের কিছু নেই। ডিভিডি ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হবে না।

৪। পিসি ভালো রাখতে করণীয়।

নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করলে এবং কয়েক বছর হয়ে গেলে কম্পিউটারে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিছু সহজ জিনিসের মাধ্যমে ইচ্ছা করলে আপনি আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারেন।
⏩  পিসির জন্য অ্যান্টিভাইরাস খুবই জরুরি। তবে অ্যান্টিভাইরাসের জন্য ইন্টারনেট লাগবে। ইন্টারনেট ছাড়া অ্যান্টিভাইরাস থেকে কোনো লাভ নেই। কারণ, এটির ডেটাবেস প্রতিদিন আপডেট করতে হয় অর্থাৎ আপ টু ডেট করতে হয়। অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া কম্পিউটার ভাইরাসের আক্রমণ বাড়তে থাকে।
⏩  অনেকেই আছেন, যাঁরা কম্পিউটারের পার্টস বেশি খোলাখুলি করেন। এটি করবেন না, কারণ এটি কম্পিউটারের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাছাড়া এতে বিভিন্ জিনিসও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৫। রাইট করা সিডিতে আরো ডেটা যোগ করুন।

আপনার সিডি/ডিভিডি রি-রাইট্যাবল না হলেও সেটিতে আরো ডেটা যোগ করতে পারবেন। এর জন্য Nero সফটওয়্যার দিয়ে সিডি/ডিভিডি রাইট করার সময় Add Dataতে ক্লিক করার পর Finished বাটনে ক্লিক করে Next বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Allows files to be added later বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Burn – এ ক্লিক করুন, সিডি/ডিভিডি রাইট শুরু হবে। রাইট হওয়ার পরেে আরো ডেটা যোগ করতে চাইলে সিডি/ডিভিডিতে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে তাহলে সেই জায়গাতে একই পদ্ধতিতে ডেটা যোগ করতে পারবেন।

৬। উইন্ডোজ এক্সপিতে ড্রাইভের নাম পরিবর্তন।

কম্পিউটার হার্ডডিস্কের প্রতিটি পার্টিশনের আলাদা ড্রাইভ লেটার দিয়ে নামকরণ করা থাকে। (যেমন – C; D; E; F ইত্যাদি)। ব্যবহারকারীরা ইচ্ছে করলেই ড্রাইভ লেটার পরিবর্তন কর নিতে পারেন। এ জন্য প্রথমে Start\Settings\Control Panel\Administrative Tools খুলুন। এরপর Computer Management – এ ডাবল ক্লিক করে Disk Management -এ ক্লিক করে যে ড্রাইভটির ড্রাইভ লেটার পরিবর্তন করতে চান, সেটির ওপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Change Drives and Paths নির্বাচন করুন। পরবর্তী সময়ে Change বাটনে ক্লিক করে Assign the Following Drive Letter ড্রপ – ডাউন লিস্ট বক্স থেকে যে কোনো একটি ড্রাইভ লেটার নির্বাচন করে Ok করুন। পরবর্তী সময়ে ড্রাইভ লেটার পরিবর্তন করার বিষয়টি কনফার্ম করার জন্য Yes বাটনে ক্লিক করুন।

৭। RAM এর গতি বাড়িয়ে নিন।

উইন্ডোজ ব্যবহারের সময় অনেক Page File তৈরি হয়, Page File ভার্চুয়াল মেমোরি হিসেবে কাজ করে। কিস্তু এই Page File কম্পিউটারে জমা হয়ে RAM-এর গতি কমিয়ে দেয়। কম্পিউটার বন্ধ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ফাইলগুলো আপনি মুছে ফেলতে পারবেন। এ জন্য Start থেকে Control Panel-এ যান। এখান থেকে Administrative Tools/Local Security Policy/Security Settings/Local Polices/Security Options ঠিকনায় যান। ডানপাশের Shutdown: Clear Virtual Memory Page File অপশনে দুইবার ক্লিক করুন এবং অপশনটি Enable করে Ok দিয়ে বের হয়ে আসুন। এখন কম্পিউটার বন্ধের সময় Virtual Memory Page File স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। এ ছাড়া Start/Run-এ গিয়ে Tree লিখে Enter চাপলে RAM -এর গতি কিছুটা বাড়বে। এই কাজটি মাঝে মধ্যে করলে আপনার কম্পিউটার গতিশীল থাকবে।

৮। মনিটরের পর্দা ওলট-পালট হয়ে যাওয়া।

অনেক সময় দেখা যায় মনিটরের পর্দা ওলট-পালট হয়ে গেছে। অর্থাৎ পর্দার ওপরের অংশ নিচে অথবা ডান পাশের অংশ বাঁ পাশে চলে যায়। যদি এমন হয় তাহলে কি বোর্ড থেকে Ctrl+Alt ধরে ওপরে-নিচে এবং ডানে-বামের অ্যারোগুলো চাপুন, দেখবেন মনিটরের পর্দাও পরিবর্তন হচ্ছে।

৯। ডক ফাইলকে পিডিএফ ফাইলে রুপান্তর।

অফিস ২০০৭ দিয়ে খুব সহজে .doc ফাইলকে পিডিএফ ফাইলে রূপান্তর করা যায়। .doc ফাইলকে পিডিএফ ফাইলে রূপান্তর করার জন্য প্রথমে Acrobat Writer সেটআপ দিতে হবে। তারপর যে .doc ফাইলটি পিডিএফ ফাইলে রূপান্তর করতে চান, সেটি অফিস ২০০৭ দিয়ে খুলে File-এ ক্লিক করুন। এখন ওপরে Name এ Acrobat Distiler নির্বাচন করে Ok-তে ক্লিক করুন। এখন পিডিএফ ফাইলটি কোথায় সেভ করতে চান, সেটি নির্বাচন করে দিন। দেখবেন পিডিএফ ফাইল তৈরি হয়ে গেছে।

১০। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফন্ট পরিবর্তন।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে (এমএসওয়ার্ড) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় একই লেখায় বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভাষা টাইপ করতে হয়। আপনি ইচ্ছে করলে এক ক্লিকে ফন্ট পরিবর্তন করতে পারেন। এ জন্য Tools/Customize/Categories/Fonts- এ যান এবং আপনি যে ফন্ট বেশি পরিবর্তন করে থাকেন, ডান পাশ থেকে তা মাউসের সাহায্যে ড্রাগ করে মেনুবারে নিয়ে বক্সটি Close করে দিন। মেনুবারে ফন্টটি এসে যাবে। এর জন্য Tools/Customize/Keyboard/Categories/Fonts এ যান। এবার ফন্ট নির্বাচিত করুন এবং Press New Shourtcut Key অপশনে আপনার পছন্দের শর্টকাট কি চাপুন, যেমন Ctrl + 5। এখন লেখার সময় এ শর্টকাট কি চাপলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

১১। মাই কম্পিউটারের গতি বাড়ান।

অনেক সময় কম্পিউটারের গতি কমে যায়, যার ফলে My Computer খুলতে দেরি হয়। এ রকম হলে Start/Run-এ গিয়ে regedit লিখে Enter চাপুন। এখন HKEY_CURRENT_USER\Control Panel\Desktop অপশনে যান বা পাাশের MenuShowDelay অপশনে দুইবার ক্লিক দিন এবং ডান ক্লিক দিয়ে Modify অপশনে যান। এখন Value Data হিসেবে 100 লিখে Ok করে বের হয়ে আসুন। এরপর থেকে My Computer খুলবে দ্রুত।

১২। এক ক্লিকেই সব কাজ।

মাউস দিয়ে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার খোলার সময সাধারণত তাতে দুইবার ক্লিক করতে হয়। কিন্তু ইউন্ডোজ এক্সপিতে এমন একটি অপশন রয়েছে, যা দিয়ে এক ক্লিকেই সব ফাইল বা ফোল্ডার খুলতে পারবেন। এ জন্য Tools থেকে Folder Option-এ যান। এবার General Tab-এর Click Items as Follows থেকে Single-Click to Open on item(Point to Select) অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর Apply/Ok করে বেরিয়ে আসুন। এখন একবার ক্লিক করেই যে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার খুলতে পারবেন। এতে করে সময় যেমন বাঁচবে, মাউসও টিকবে বহুদিন।

১৩। রাঙিয়ে তুলুন মাই কম্পিউটার।

কম্পিউটারে থাকা মাই কম্পিউটারকে ইচ্ছে মতো রঙিন করে নেওয়া যায়। এজন্য ইউন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ডেস্কটপের ফাঁকা জায়গায় ডান ক্লিক করে Properties-এ যান। Appearance-এ ক্লিক করুন। এর নিচে Advance-এ ক্লিক করলে, Advance Appearance ডায়লগ বক্স আসবে। এখন বক্সের নিচে Items-এ Window-এ ক্লিক করুন। এখন এর ডানপাশে Color-এর নিচে সাদা রং সিলেক্ট আছে দেখাবে। এখানে অন্য কোনো রং বেছে নিয়ে Ok করুন।

১৪। রিসাইকেল বিনের নাম পরিবর্তন।

ডেস্কটপের যে কোন শর্টকাট কি, আইকন থেকে শুরু করে যে কোনো ফোল্ডার বা ফাইলের নাম রিনেম করা যায়। তবে রিসাইকেল বিনের নাম বদলাতে গিয়ে অনেকেই পারেন না। কারণ Recycle Bin-এর ওপর ডান ক্লিক করলে সেখানে কোনো Rename অপশনটাই আসে না। তবে চাইলেই ভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার পছন্দমতো নাম দিয়ে এর নাম বদলাতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে Start মেনুতে গিয়ে Run অপশনে গিয়ে লিখতে হবে regedit, পরে Enter করুন। সেখানে আপনি বাঁয়ের দিকে থাকা HKEY_CLASSES_ROOT ফোল্ডারটি খুলে CLSID খুঁজে বের করুন। তারপর সেখানে {645FF040-5081-101B-9F08-00AA002F954E} ফোল্ডারটি ওপেন করে দেখুন"40 01 00 20” দেওয়া আছে, তাকে শুধু "70 01 00 20” এই মানে পরিবর্তন করুন। এবার ডেস্কটপে এসে দেখুন খুব সহজেই আপনি রিসাইকেল বিনের নাম বদলে দিতে পারছেন।

১৫। কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ করুন।

আমরা সাধারণত কম্পিউটার শাট ডাউন করি স্টার্ট মেনু থেকে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ করতে হয়। এ জন্য আপনাকে কি-বোর্ডে উইনডোজ কিতে (Ctrl এবং Alt এর মাঝখানে) একবার চাপ দিয়ে দুবার U চাপতে হবে। তাহলে কম্পিউটার আপনা-আপনি বন্ধ (শাটডাউন) হবে। পরে আবার ইচ্ছে করলে কম্পিউটার যথারীতি এপেন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো পদ্ধতির দরকার হবে না।

১৬। উইন্ডোজ এক্সপিতে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে।

আপনার কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও ইচ্ছা করলে আপনার কম্পিউটার চালু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার যখন পাসওয়ার্ড চাইবে তখন কি বোর্ড থেকে Ctrl+Alt চেপে ধরে পরপর দুবার Delete চাপুন। দেখবেন নতুন একটি উইন্ডো এসেছে। সেটিতে User Name-এ Administrator লিখে Ok করুন। দেখবেন কম্পিউটার চালু হয়েছে। তবে আপনি যদি অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেওয়ার সময় পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের Administrator-এ পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, তাহলে কম্পিউটার চালু হবে না। এ ক্ষেত্রে নতুন করে আবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিতে হবে। আর কম্পিউটারের BIOS-এ যদি পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, তাহলে মাদারবোর্ডের ব্যাটারি খুলে আবার লাগালে পাসওয়ার্ড মুছে যাবে।

১৭। নির্দিষ্ট কাজের জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ।

নির্দিষ্ট সময় পর বা প্রসেসরের ব্যবহারের ওপর অথবা নেটওয়ার্কের কাজের ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটার আবার চালু করা (রিস্টার্ট), বন্ধ করা, লগঅফ, লক করা, ফাইল চালানো বা অডিও ফাইল (mp3, ogg, wma, wav) চালানো যাবে। এমনই একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে টাইমকমক্স। চার মেগাবাইটের এ সফটওয়্যারটি www.bitdreamers.com/en/products/timecomx থেকে নামানো যাবে। সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করে চালু করুন এবং Task ট্যাবে গিয়ে টাক্স নির্বাচন করুন। এবার Event ট্যাবে গিয়ে Mode থেকে পছন্দের ইভেন্ট নির্বাচন করে নিচের মান সেট করুন এবং Start বোতাম ক্লিক করুন।

১৮। ওয়ার্ড/এক্সেলের হারানো পাসওয়ার্ড উদ্ধার।

মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম ওয়ার্ড ও এক্সেলে কোনো কারণে গোপন নম্বর (পাসওয়ার্ড) ভুলে গেলে ফাইলটি খোলা সম্ভম হয় না। তবে 'অ্যাডভান্সড অফিস পাসওয়ার্ড রিকভারি’ সফটওয়্যার থাকলে চার ডিজিট পযর্ন্ত পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা সম্ভব। সফটওয়্যারটি www.elcomsoft.com/aopr.htmlথেকে নামানো যাবে। সফটওয়্যারটি দ্বারা মাইক্রাসফট অফিসের ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, একসেস, আউটলুক, ওয়াননোট, পাবলিশার ইত্যাদির পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যায়।

১৯। সফটওয়্যার ছাড়া ফোল্ডারের পাসওয়ার্ড।

সফটওয়্যার ছাড়াও ফোল্ডারের গোপন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়া যায়। সে জন্য যে ফোল্ডারটিতে গোপন নম্বর দিতে চান, সেই ফোল্ডারের ওপর মাউস পয়েন্ট রেখে ডান বাটনে ক্লিক করুন। এবার Send to অপশনের Compressed (Zipped) Folder-এ ক্লিক করুন। এতে ফোল্ডারটি Zip Folder-এ রুপান্তরিত হবে। এখন এই Zip Folder-এ মাউস পয়েন্টার রেখে ডান বাটনে ক্লিক করুন এবং Open With-এর Compressed (Zipped) Folder-এ ক্লিক করুন। এখন নতুন যে উইন্ডোটি আসবে, সেখানে যে কোনো খালি জায়গায় মাউস পয়েন্টার রেখে ডান মাউসে ক্লিক করে Add a Password-এ ক্লিক করতে হবে এবং Password ও Confirm Password-এ একই গোপন নম্বর দিয়ে Ok করুন। তারপর ফোল্ডার Open করে দেখুন আপনার Passwordহয়ে গেছে।

২০। মাউক্রোসফট অফিসে চলবে ওপেন অফিসের ফাইল।

মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সে অফিস প্রোগ্রাম হিসেবে ব্যবহার করা হয় openoffice.org। সফটওয়্যারটি www.openoffice.org এবং বহনযোগ্য সংস্করণ পাওয়া যায় www.portableapps.com-এ ঠিকানায়। ওপেন অফিসের ফাইলগুলো (.odf) মাউক্রোসফট অফিসে সমর্থন করে না। একটি প্লাগইন ব্যবহার করলেই ওপেন অফিসের ফাইলগুলো যেমন-মাইক্রোসফট অফিসে চালানো যাবে। প্লাগইনটি www.sun.com/software/star/odf_plugin/get.jsp থেকে বিনা মূল্যে নিবন্ধন করে নামিয়ে নেওয়া (ডাউনলোড) যাবে।

২১। ভুল নির্দেশ মুছে দিন।

অনেক সময় উইন্ডোজের Runকমান্ডে আমরা ভুল নির্দেশ লিখে ফেলি। কিন্তু পরে আর সে ভুল নির্দেশ Run থেকে সরানো যায় না। ইচ্ছে করলে খুব সহজেই Run-এ লেখা যে কোনো কমান্ড মুছতে পারেন। এ জন্য Start\Run- এ গিয়ে regedit লিখে এন্টার করুন। এখন HKEY_USERS\Default\Software\Microsoft\Windows\CurrentVersion\Explorer\RunMRU অপশনে যান। দেখুন ডানপাশে Run Command-এর একটা তালিকা দেখা যাচ্ছে। এখান থেকে ভুল কমান্ড মুছতে কমান্ডটি নির্বাচন করে মাউসের ডান ক্লিক দিয়ে Delete দিন।

২২। অপ্রয়োজনীয় ফাইল দূর করুন।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে হার্ডডিক্স ড্রাইভে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমা হয়। এসব ফাইল কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। অপ্রয়োজনীয় ফাইল পরিস্কার করতে Start\Run-এ গিয়ে Cleanmgr লিখে Enter চাপুন। এখন একটি মেন্যু আসবে, এখান থেকে যে ড্রাইভ পরিস্কার করতে চান, সেটি নির্বাচন করে Ok দিন। এখন যেসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলতে চান, সেগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে Ok করলেই ড্রাইভ পরিস্কার হয়ে যাবে।

২৩। এক্সপিতেই শুনুন উইন্ডোজ ৭ এর শব্দ।

উইন্ডোজ এক্সপিতে ইচ্ছে করলে আপনি উইন্ডোজ ৭-এর শব্দ শুনতে পারেন। এ জন্য http://ziddu.com/download/9722389/Windows_7_SoundsPackwww.biggani.tk.exe.html ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ ৭-এর সাউন্ডপ্যাকটি নামিয়ে নিন (ডাউনলোড)। এখন সাউন্ডপ্যাকটি ইনস্টল করুন। এবার কম্পিউটার পুনরায় চালু (রিস্টার্ট) করলেই উইন্ডোজ ৭-এর ব্যবহৃত শব্দ শোনা যাবে।

২৪। নিজের ছবি দিয়ে আইকন।

কম্পিউটারের ফোল্ডারের আইকন হিসেবে ইচ্ছে করলে আপনি নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আপনার লাগবে 'ইমেজ আইকন’ নামের একটি সফটওয়্যার। মাত্র ১.০১ মেগার ছোট এই সফটওয়্যারটি www.ziddu.com/download/9779577/Imagicon-www.biggani.tk.exe.html ঠিকানার সাইট থেকে নামিয়ে নিন। এরপর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে চালু করুন। ইমেজ আইকন খুলে যে ছবিটির আইকন তৈরি করতে চান, সেটি মাউস দিয়ে টেনে এনে সফটওয়্যারটি ওপর ছেড়ে দিন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইকন তৈরি হয়ে যাবে। যে ফোল্ডারের আইকন পরিবর্তন করতে চান সেটির ওপর মাউস রেখে Properties/Customize/Change Icon-এ যান। এখন Browse করে আইকনটি নির্বাচন করুন। আপনার পছন্দের ছবিটি ফোল্ডারের আইকন হিসেবে দেখতে পাবেন।

২৫। ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

⏩  ই-মেইালের সংযুক্ত ফাইল খোলার আগে তাতে কোনো ভাইরাস আছে কি না, তা জানতে সেটি অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে। Ram এর দাম অনেক কমে এসেছে কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশের তুলনায়।

⏩  যদি এক বা একাধিক ফাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে তা প্রথমে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পরিস্কার (ক্লিন)করার চেষ্টা করতে হবে। সব ফাইল যদি পরিস্কার হয় তবে তো ভালো কথা। কিন্তু কিছু ফাইল যদি পরিস্কার না হয়, তব সেগুলো মুছে (ডিলিট) ফেলতে হবে। ফাইলগুলো যদি আপনার খুব দরকারি হয়, সে ক্ষেত্রে সে সব না মুছে কোয়ারেন্টাইন (ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল না মুছে সেগুলোতে অ্যান্টিভাইরাস সফটও্য়্যার দিয়ে একটি বিশেষ অবস্থায় রাখা) করে রাখতে হবে। এ অবস্থায় ফাইলগুলো থেকে কোনোভাবেই ভাইরাস ছড়াতে পারে না।

⏩  যখন কোনো ফ্লপি ডিক্স, সিডি, অতিরিক্ত হার্ডডিক্স, পেনড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে, তখন ভাইরাস পরীক্ষা (স্ক্যান) স্বয়ংক্রিয় সুবিধাটি সক্রিয় রাখতে হবে।

⏩  সব সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের হাল-নাগাদ সংস্করণটি ব্যবহার করতে হবে এবং অ্যান্টিভাইরাস হাল-নাগাদ করার পর অবশ্যই পুরো কম্পিউটার এটি দিয়ে পরীক্ষা করে দিতে হবে।

⏩  একই অপারেটিং সিস্টেম কখনোই পাশাপাশি দুটি বা এর বেশি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখা উচিত হবে না।

⏩  ব্যবহারকারী ইচ্ছা করলে একাধিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার পরীক্ষা করে দিতে পারেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটি অ্যান্টিভাইরাস কখনো কখনো কিছু ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে না।

⏩  একাধিক অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ি কম্পিউটার পরীক্ষা করতে চাইলে প্রথমে যে অ্যান্টিভাইরাসটি ইনস্টল করেছেন, তা দিয়ে সম্পূর্ণ কম্পিউটারের পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং পরে সেটি ফেলে দিয়ে (অন-ইনস্টল) আরেকটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে কম্পিউটার পরীক্ষা করাতে হবে।

⏩  কম্পিউটার ভাইরাস পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রথমে Safe মুডে কম্পিউটার চালু করতে হবে। এরপর ভাইরাস পরীক্ষার কাজ শুরু করতে হবে।

⏩  যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তারা অবশ্যই হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন।

⏩ব্যবহারকারীর য়দি অসীম (আন-লিমিটেড) ডায়ালআপ বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তবে ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের মাধ্যম বিশ্বখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ভাইরাস স্ক্যান করে নিতে পারেন।


No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.